সাঁতরে অফিসে যান যিনি...
শহরের ব্যস্ত সড়ক দিয়ে প্রতিদিন ঠিক সময়ে অফিসে পৌঁছানো দুষ্কর হয়ে পড়েছিল বেনজামিন ডেভিডের জন্য। যানজটে বসে থেকে অফিসে পৌঁছাতে পৌঁছাতেই ক্লান্ত হয়ে যেতেন তিনি। এ সমস্যার একটা জুতসই সমাধান খুঁজছিলেন ডেভিড।
প্রবাদ আছে, সমস্যা থাকলে সমাধানও মেলে। জার্মানির মিউনিখের বাসিন্দা ডেভিড ঠিক বের করে নিলেন অভিনব এক উপায়। ব্যস্ত সড়কের পাশে শান্ত ইসার নদীকে বেছে নিলেন যাতায়াতের পথ হিসেবে। প্রতিদিন পানিনিরোধক একটি ঝোলায় ঢুকিয়ে নেন ল্যাপটপ থেকে শুরু করে প্রয়োজনীয় সব জিনিস। এরপর প্রয়োজনমতো সাঁতারের পোশাক পরে ঝোলাটা কাঁধে নিয়ে নেমে যান ইসার নদীতে। বেশ আরাম করে সাঁতরে সাঁতরে অফিসের কাছে কালচার তীরে পৌঁছান তিনি। সেখানে পোশাক পাল্টে একটি পানশালায় গিয়ে ফরমাশ করেন বড় এক মগ কফি। এতে যেমন তাঁর সময় বাঁচে, তেমনি ফুরফুরে থাকে তাঁর মেজাজটাও।
সারা দিন কাজের পর মাঝে মাঝে সাঁতরে বাড়িও ফেরেন ডেভিড। তিনি জানান, তাঁকে সাঁতরাতে দেখলে খুব অবাক হন তীরের পথচারীরা। সহকর্মীরা তো রীতিমতো তাঁকে হিংসাই করেন। তবে কেউ কেউ মাঝেমধ্যে তাঁর সঙ্গে সাঁতারে যোগ দেন।
ডেভিড বলেন, সাঁতারের জন্য পানির তাপমাত্রা নির্ণয় করে নেওয়াটা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। আল্পস পর্বতমালা থেকে উৎপন্ন হয়েছে ইসার নদী। গ্রীষ্মে বেশ উষ্ণ থাকলেও শীতে পানি অনেক ঠান্ডা। তাই প্রতিদিন তাপমাত্রা আগে থেকে ইন্টারনেটে দেখে নিয়ে সেই অনুযায়ী সাঁতারের পোশাক নির্বাচন করেন তিনি।
No comments:
Post a Comment