দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়া যাবে?
এক বছর বন্ধ থাকার পর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে আবারও দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ বহালের সুপারিশ করেছে ভর্তি পরীক্ষা উপ-কমিটি। ভর্তি পরীক্ষা কমিটি এই সুপারিশ সম্পর্কে সিদ্ধান্ত নেবে। এ ছাড়া এ বছর ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতাও বাড়ানোর সুপারিশ করেছে ভর্তি উপ-কমিটি।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক এম আবদুস সোবহানের সভাপতিত্বে আজ বৃহস্পতিবার বেলা ১১টা থেকে ১টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা উপ-কমিটির সভায় এসব সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার সেন্টারের প্রশাসক অধ্যাপক খাদেমুল ইসলাম মোল্যা জানান, চলতি বছর উচ্চ মাধ্যমিক পাস করা শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি ২০১৬ সালে পাস করা শিক্ষার্থীদেরও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ দেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। আগামী ২২ থেকে ২৬ অক্টোবর রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষা গ্রহণের তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে।
খাদেমুল ইসলাম মোল্যা আরও জানান, আগামী ১০ সেপ্টেম্বর থেকে চলতি শিক্ষাবর্ষে ভর্তির আবেদন অনলাইনে শুরু হবে। চলবে ২৪ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত। এবার গত বছরের চেয়ে ভর্তি পরীক্ষায় আবেদনের যোগ্যতাও বাড়ানো হয়েছে। মানবিক শাখা থেকে উত্তীর্ণদের এসএসসি ও এইচএসসিতে (চতুর্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৭.৫০ পেতে হবে। যা আগে ছিল ৭। বাণিজ্য শাখা থেকে উত্তীর্ণদের এসএসসি ও এইচএসসিতে (চতুর্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮ থাকতে হবে। যা আগে ছিল ৭.৫০। আর বিজ্ঞান শাখা থেকে উত্তীর্ণদের এসএসসি ও এইচএসসিতে (চতুর্থ বিষয়সহ) ন্যূনতম জিপিএ ৩.৫০ সহ মোট জিপিএ ৮.৫০ পেতে হবে। যা আগে ছিল ৮।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এম আবদুস সোবহান বলেন, ‘কমিটির সদস্যদের মতামতের ভিত্তিতে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ রাখা হয়েছে। তবে তা ভর্তি পরীক্ষা মূল কমিটি চূড়ান্ত অনুমোদন দিলে কার্যকর করা হবে।’
গত শিক্ষাবর্ষে (২০১৬-১৭) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষায় শুধুমাত্র ২০১৬ সালে উচ্চ মাধ্যমিক পাশ করা শিক্ষার্থীদের অংশ নেওয়ার সুযোগ দেওয়া হয়। তবে এর আগে দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশ নেওয়ার সুযোগ ছিল। ২০১৬ সালে একাডেমিক কাউন্সিলের সভায় দ্বিতীয়বার ভর্তি পরীক্ষায় অংশগ্রহণের সুযোগ বাতিলের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল। তখন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ছিলেন মুহম্মদ মিজানউদ্দিন।
No comments:
Post a Comment